ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কনস্যুলেট ভবন কেনায় অনিয়মের অভিযোগ: ব্যবস্থা নিতে নোটিশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
কনস্যুলেট ভবন কেনায় অনিয়মের অভিযোগ: ব্যবস্থা নিতে নোটিশ

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে বাংলাদেশ কনস্যুলেট ভবন ও কনসাল জেনারেলের বাসভবন কেনায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে দুদক ও সরকারকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লস অ্যাঞ্জেলেসের সাবেক কনসাল জেনারেল প্রিয়তোষ সাহা বরাবর ইমেইল যোগে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
 
সুপ্রিম কোর্টের দু’জন আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে এ নোটিশ পাঠান।


 
বাংলাদেশ কনস্যুলেট ভবন কেনায় অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে ১৭ জুন ‘লস অ্যাঞ্জেলেসে কনস্যুলেট ভবন কেনায় সাগর চুরি, গডফাদার বাঁচাতে লুকোচুরি’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
   
প্রতিবেদন থেকে উল্লেখ করে হুমায়ন কবির পল্লব জানান, লস অ্যাঞ্জেলেসে বাংলাদেশের কনস্যুলেট অফিস স্থাপনের জন্য গতবছর জুন মাসে একটি বাড়ি কেনা হয়েছে। সেই বাড়িটির ক্রয়মূল্য দেখানো হয়েছে ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার। যা বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে ২৩ গুণ বেশি। অন্যদিকে কনস্যুলেট অফিসের কনসালের বাসভবনের জন্য আরেকটি বাড়ি কেনা হয়েছে। সেই বাড়িটি কেনা হয়েছে ৩২ লাখ মার্কিন ডলারে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ২০ লাখ ডলারের চেয়ে বেশি হওয়ার কথা নয়।  

কনস্যুলেট অফিস এবং আবাসিক ভবন বাজারমূল্যের চেয়েও অনেক বেশি দামে কেনায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি অভিযোগ করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে লস অ্যাঞ্জেলেসের কনসাল জেনারেল প্রিয়তোষ সাহাকে ঢাকায় নিয়ে এসে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে এত বড় দুর্নীতির ঘটনার তদন্ত অথবা যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশন অথবা বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
 
তিনি বলেন, বিষয়টি জনস্বার্থের পরিপন্থি এবং রাষ্ট্রের জন্য চরম ক্ষতিকর। এ পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের মাধ্যমে বিবাদীদের ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে এবং কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা আবেদনকারীকে জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।