ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পর্দা কেলেঙ্কারি: ২ আসামির জামিন বহাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২০
পর্দা কেলেঙ্কারি: ২ আসামির জামিন বহাল

ঢাকা: ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আলোচিত ‘পর্দা কেলেঙ্কারির’ ঘটনায় করা মামলায় দুই আসামিকে শর্তসাপেক্ষে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রয়েছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে দুদকের করা আবেদনের ওপর বুধবার (২৪ জুন) ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন আপিল বিভাগের ভার্চ্যুয়াল চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান।  

আসামিদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী মো. সাইফুল্লাহ মামুন।

দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো.খুরশীদ আলম খান।

পরে এ এম আমিন উদ্দিন বলেন,চেম্বার আদালত নো অর্ডার আদেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ জামিন বহাল।

এর আগে ২১ জুন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামিদের জামিন দেন। এরপর আপিল বিভাগে জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক।

আসামিরা হলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন। এ দু’জন বিচারিক আদালতকে আত্মসমর্পণের পর ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন।

হাইকোর্টে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী মো. সাইফুল্লাহ মামুন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

২১ জুন একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, বিলের টাকা উত্তোলন না করার শর্তে নিয়মিত কোর্ট খোলার এক সপ্তাহ পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন। আর মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিলের টাকা দাবি করতে পারবে না।

গতবছরের ২৭ নভেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ফরিদপুরের দুদকের সহকারী পরিচালক কমলেশ মণ্ডল মামলাটি রেকর্ড করেন (মামলা নম্বর-৪)।

মামলায় আসামি করা হয়েছে সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সি ফররুখ আহমেদ, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (দন্ত বিভাগ) ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ, ফমেক হাসপাতালের সাবেক জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) ডা. মিনাক্ষী চাকমা ও ফমেক হাসপাতালের সাবেক প্যাথোলজিস্ট ডা. এএইচএম নুরুল ইসলাম।

আসামিদের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজশে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য অপ্রয়োজনীয় এবং অবৈধভাবে প্রাক্কলন ব্যতীত বেশি দামে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগে ৪০৯/৫১১/১০৯ ধারায় দণ্ডবিধির ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এ মামলা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২০
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।