সোমবার (২৯ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রনজিত সরকার আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
গত রোববার (২৮ জুন) রেশমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী রবিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারী থানার এসআই রনজিত সরকার জানান, রেশমার বাবা অভিযোগ করেন তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করা হয়। পরে অভিযুক্ত স্বামী রবিনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো বলে জানতে পেরেছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রেশমা মুন্সিগঞ্জ লৌহজং উপজেলার বড় ফুলকচি গ্রামের মনু হাওলাদারের মেয়ে। তিনি স্বামী রবিন হাসানের সঙ্গে ওয়ারী গোয়ালঘাট লেনের ৫৮ নম্বর বাসার ৬ষ্ঠ তলায় ভাড়া থাকতেন। ৯ মাসের এক সন্তানের মা রেশমা।
রেশমার বাবা মনু হাওলাদার বাংলানিউজকে জানান, আড়াই বছর আগে প্রেম করে তারা বিয়ে করেন। কয়েকদিন আগে বাবার বাড়ি থেকে ঘুরে আবার ঢাকায় আসেন। গত শনিবার (২৭ জুন) রেশমা ফোন দিয়ে জানান তার স্বামী রবিন পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে মারধর করছে।
এরপর শনিবার দিনগত রাত দেড়টা থেকে ২টার দিকে রবিন তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। হত্যার সময় রেশমার চিৎকারে পাশের ভাড়াটিয়ারা এসে ডাকাডাকি করলে এক পর্যায়ে রবিন দরজা খুলে দেন। তারা রেশমাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২০
কেআই/আরবি