মঙ্গলবার (৩০ জুন) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের এ দিন ধার্য করেন।
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির বাবুল বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে নৌপুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামছুল আলম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, স্টাফ শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও পাঁচ-ছয়জনকে সেখানে আসামি করা হয়।
প্রাণহানির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত মামলায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মামলাটি তদন্ত করছেন ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল আলম।
এমএল মর্নিং বার্ড নামে ওই যাত্রীবাহী লঞ্চটি সোমবার (২৯ জুন) সকালে মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে সদরঘাটের দিকে আসছিল। শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর এ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মীরা ৩০ মরদেহ উদ্ধার করেন।
লঞ্চডুবির প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর রাত সোয়া ১০টার দিকে একজনকে জীবিত উদ্ধারের কথা জানায় ফায়ার সার্ভিস। ধারণা করা হচ্ছে, লঞ্চের আরও যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন।
ঘটনার পর সদরঘাটের একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও বের হয়। এতে দেখা যায়, পেছনে চলতে থাকা ময়ূর-২ এর ধাক্কায় ছোট মর্নিং বার্ড কীভাবে মুহূর্তেই তলিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
কেআই/টিএ