বুধবার (১ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে ফৌজদারি মামলা এবং চেক ডিজঅনার মামলা পরিচালনার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বুধবার (১ জুলাই) সেই বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিগণের সাথে আলোচনাক্রমে এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে অনুসরণ করে অধস্তন দেওয়ানি আদালতের সংশ্লিষ্ট সেরেস্তায় মোকদ্দমা ও আপিল দায়ের করা যাবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেওয়ানি আদালত সমূহ স্ব স্ব সেরেস্তায় শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিত করার জন্য মোকাদ্দমা ও আপিল দায়ের/ গ্রহণের প্রয়োজনীয় পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন। দেওয়ানি মোকাদ্দমা ও আপিল গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট আদালত দেওয়ানি কার্যবিধি অনুসরণ করতঃ সমন জারি করবেন।
সুপ্রিম কোর্টের ১৫ জুনের বিজ্ঞপ্তি মূলে প্রচারিত নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনাল সমূহ অতীব জরুরি বিষয় সমূহ শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনার সংক্রমণ রোধ কল্পে তথা বিচারক ও আইনজীবীবৃন্দসহ অন্যান্য সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল শুনানির মাধ্যমে পরিচালিত আদালতের কার্যক্রম একটি সাময়িক ব্যবস্থা মাত্র। পরিস্থিতি উন্নত হওয়া মাত্রই পূর্ব প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করতঃ বিচার কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা প্রদান করা হবে।
বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল শুনানির মাধ্যমে পরিচালিত আদালতের কার্যক্রম সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করে সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটিতে আদালত বন্ধ রেখে গত ২৬ এপ্রিল ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এজন্য সুপ্রিমকোর্টের রুলস কমিটি পুনরায় গঠন এবং ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই দিন প্রথমবারের ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের ৮৮ জন বিচারপতি।
এ অবস্থায় গত ০৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
২ দিন পর ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বা ক্ষেত্রমতো হাইকোর্ট বিভাগ, সময় সময় প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) জারি করতে পারবে।
১০ মে সুপ্রিম কোর্ট প্রাকটিস ডাইরেকশন জারি করে আদালতে ভার্চ্যুয়াল শুনানির নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২০
ইএস/এমজেএফ