ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নতুন শর্ত নিয়ে গ্রামীণফোনের রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৪ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২০
নতুন শর্ত নিয়ে গ্রামীণফোনের রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ

ঢাকা: বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের আরোপিত নতুন বিধি-নিষেধের বিরুদ্ধে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৬ জুলাই) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গ্রামীণফোনের আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

বিটিআরসির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম ও ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব বলেন, মামলাটি আজ আদালতে উঠেছিল। গ্রামীণফোনের আইনজীবী মামলাটি উইথড্র বা ননপ্রসিকিউশন (মামলা আর না চালানো) করার জন্য সাবমিশন রাখলে আদালত এটিকে আউট অব লিস্ট করেছেন।

খুচরা মোবাইল সেবা সংশ্লিষ্ট বাজারে তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন মোবাইল অপারেটরদের জন্য নির্দেশনা দিয়ে গ্রামীণফোনসহ গত ২১ জুন সব মোবাইল ফোন অপারেটরকে চিঠি পাঠায় কমিশন।

এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করে গ্রামীণফোন।

নির্দেশনায় বলা হয়, গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে এক অপারেটরে অন্য অপারেটরের সেবা লকিং পিরিয়ড ৯০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিন হবে, যা ১ জুলাই থেকে প্রযোজ্য হবে।

চিঠিতে বলা হয়, এসএমপি (সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার) অপারেটর হিসেবে গ্রামীণফোন বিটিআরসির অনুমোদন ব্যতীত কোনো প্রকার সার্ভিস/প্যাকেজ/অফার দিতে পারবে না। এমনকি সার্ভিস/প্যাকেজ/অফারের পরিবর্তন/পরিবর্ধন/পরিমার্জনের ক্ষেত্রে বিটিআরসির অনুমোদন নিতে হবে।  
গ্রামীণফোনের বর্তমানে প্রচলিত সব ধরনের সার্ভিস/প্যাকেজ/অফার চালু রাখার ক্ষেত্রে পুনরায় কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে। নতুন সার্ভিস/প্যাকেজ/অফারের ক্ষেত্রে বিষয়টি আগামী ১ জুলাই থেকে প্রযোজ্য হবে। পুরাতন বা চলমান সব সার্ভিস/প্যাকেজ/অফার ৩১ আগস্টের মধ্যে কমিশনে পুনরায় অনুমোদন নিতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন পরিচালনাকারী হিসেবে গ্রামীণফোনের ভয়েস ট্যারিফ সর্বনিম্ন ৫০ পয়সা আপাতত দেওয়া হলো না। কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট চলমান সংকট পরিস্থিতে কমিশন এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। তবে পরবর্তীসময়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এ বিষয়ে কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিটিআরসি চিঠিতে জানায়, গ্রামীণফোন যখন টার্মিনিটিং অপারেটর হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে তখন অরিজেনিটেং অপারেটররা (এসইমপি নয়) থেকে ১০ পয়সা মিনিটের পরিবর্তে ৫ পয়সা পাবে/গ্রহণ করবে তা আরও পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে যাচাই-বাছাই করে কমিশন অনতিবিলম্বে জারি করবে।

২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনকে এসএমপি (সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার) বা তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এসএমপি ঘোষণার ফলে একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বিটিআরসি। এতে অপারেটরটির করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো নির্ধারণ করে দিতে পারবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।