ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

রিজেন্টের ৭ জন ৫ দিনের রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২০
রিজেন্টের ৭ জন ৫ দিনের রিমান্ডে আসামিদের আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের অ্যাডমিন, টেকনোলজিস্টসহ সাতজনের দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার ( জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এই সাত আসামি হলেন- হাসপাতালের এডমিন আহসান হাবীব, এক্স-রে টেকনিশিয়ান আহসান হাবীব হাসান, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হাতিম আলী, হেড অফিসের অ্যাডমিন রাকিবুল ইসলাম, এইচ আর অ্যাডমিন অমিত বণিক, ড্রাইভার আব্দুস সালাম এবং এক্সিকিউটিভ অফিসার আব্দুর রশিদ খান।   অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় কামরুল ইসলামকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে সোমবার ( জুলাই) রাতে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অভিযান পরিচালনা করে। এসময় জনকে ভুয়া সনদ সরবরাহের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।

করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্তরা-পশ্চিম থানায় মামলা করে র‌্যাব।

মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামোল্লেখ করা হয়। প্রধান আসামিসহ জন আসামিকে পলাতক দেখিয়ে এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

পলাতক আসামিরা হলেন-রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ, রিজেন্ট হাসপাতালের কর্মী তরিকুল ইসলাম, মো. শিমুল পারভেজ, দীপায়ন বসু, আইটি কর্মকর্তা মাহবুব, সৈকত এবং পলাশসহ জন।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতালের শাখা দুটির (উত্তরা মিরপুর) কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশের কথা বলা হয়। মঙ্গলবার ( জুলাই) বিকেলে উত্তরায় রিজেন্টের প্রধান কার্যালয় সিলগালা করে দেয় র‌্যাব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ক্লিনিকসমূহ) মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতালের ওই দুই শাখায় গত মার্চ থেকে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সোমবার ্যাবের অভিযানে উত্তরা শাখায় (মূল শাখা) বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে। এতে দেখা যায়, হাসপাতাল দুটি রোগীদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে বিরাট অঙ্কের টাকা আদায় করছে। পাশাপাশি অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও লাইসেন্স নবায়ন না করাসহ আরও অনিয়ম প্রমাণিত হয়। এসব অনিয়মের কারণে এবংমেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবটোরিস রেজুলেশন অরডিন্যান্স-১৯৮২অনুযায়ী এই হাসপাতালের কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২০
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।