ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাহাবউদ্দিন হাসপাতালের এমডিসহ ৩ জনের রিমান্ড আবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২০
সাহাবউদ্দিন হাসপাতালের এমডিসহ ৩ জনের রিমান্ড আবেদন সাহাবউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ফাইল ফটো

ঢাকা: রাজধানীর সাহাবউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অভিযানের পর গ্রেফতার হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সল আল ইসলামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ জুলাই) তাদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে সাতদিন করে রিমান্ড দিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক মশিউর রহমান।

রিমান্ড আবেদনের ওপর মঙ্গলবার বিকেলেই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হবে। এই মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক ডা. আবুল হাসনাত ও স্টোরকিপার শাহরিজ কবির।

রোববার সাহাবউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সেটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। সোমবার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সল আল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ডা. আবুল হাসনাত ও স্টোরকিপার শাহরিজ কবিরের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও কয়েকজনকে আসামি দিয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) নায়েব সুবেদার ফজলুল বারী।

মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। রোববার অভিযানের সময় ডা. হাসনাত ও শাহরিজকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এছাড়া সোমবার বনানীর একটি হোটেল থেকে এমডি ফয়সলকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি মেডিক্যাল কলেজটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিনের ছেলে। সাহাবউদ্দিন বলছেন, তার ছেলে ফয়সল ‘করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত’। তাকে ওই হোটেলে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল।

অনুমোদন না নিয়ে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা, ভুয়া রিপোর্ট এবং বিভিন্ন কৌশলে রোগীদের ভর্তি রেখে অতিরিক্ত বিল আদায়ের অভিযোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে সাহাবউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালান র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। হাসপাতালটির বিরুদ্ধে নয় ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ।

অভিযোগগুলো হলো, করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় সরকারের র‌্যাপিড টেস্টের অনুমোদন না থাকলেও তারা সেটা করেছে। পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া প্রতিবেদন দিয়েছে। করোনা ভাইরাস নেগেটিভ রোগীকে পজিটিভ দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ভিন্ন ল্যাব থেকে কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা করিয়ে নিজেদের প্যাডে প্রতিবেদন দিয়েছে।

হাসপাতালটির লাইসেন্সের মেয়াদ এক বছর আগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তা আর নবায়ন করা হয়নি বলেও র‌্যাবের অভিযোগ। এছাড়া হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষে ১০ বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল সামগ্রী-ওষুধ পাওয়ার কথাও জানিয়েছে র‌্যাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২০
কেআই/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।