ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজির গ্রেফতার চেয়ে আইনি নোটিশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২০
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজির গ্রেফতার চেয়ে আইনি নোটিশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, ফাইল ফটো

ঢাকা: স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি-অনিয়ম ও প্রতারক সাহেদকে অবৈধ সুযোগ দেওয়ার অভিযোগে অধিদপ্তরের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশনা চেয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিকে ই-মেইল ও কুরিয়ারের মাধ্যমে এই নোটিশ পাঠানো হয়।

শুক্রবার (২৪ জুলাই) ন্যাশনাল ল-ইয়ার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী জুনু এ নোটিশ দেন।

নোটিশে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্নীতি অব্যবস্থাপনা দেখে এটাই প্রমাণিত যে, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা চরমে পৌঁছেছে। অধিকাংশ কোভিড হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ নেই বলে জানা গেছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই দুর্নীতি শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজির (আবুল কালাম আজাদ) আর্শিবাদপুষ্টদের কাছে করোনা যেন আশির্বাদরূপে আবির্ভাব হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী যেমন পিপিই, মাস্ক ও ওষুধ সরবরাহ দিয়ে শুরু বলা যায়।

‘এসব অনিয়ম কর্তৃপক্ষের এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ কি আদৌ আছে? করোনাকালেও স্বাস্থ্য সুরক্ষার সামগ্রীর কেনাকাটায় দুর্নীতি চরমে। এর দায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পদত্যাগকারী ডিজি এড়াতে পারেন না। করোনা মহামারির এই সংকটকালে পুরো জাতি যখন ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন, যখন প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, যখন সরকারি হিসেব মতে দৈনিক প্রায় ৪০ জন করে করোনা রোগী মারা যাচ্ছেন, তখন স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের শামিল। স্বাস্থ্যখাতের জবাবদিহিতাহীন দুর্নীতির দায় অবশ্যই সদ্য পদত্যাগকারী ডিজিকে বহন করতে হবে। এছাড়া জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণা ও রিজেন্ট হাসপাতালের চুক্তি স্বাক্ষরের দায় অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নিতে হবে। ’

নোটিশে আরও বলা হয়, ২০১৪ সাল থেকেই রিজেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্স অবৈধ জানা সত্ত্বেও হাসপাতালটিতে করোনা টেস্ট ও চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কীভাবে চুক্তি করলো? ওই চুক্তি অনুষ্ঠানে খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিবসহ কয়েকজন সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন বলে আমরা ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে দেখতে পেরেছি। এ ধরনের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর উপস্থিতি থাকার প্রটোকল নেই।

তাই এই আইনি নোটিশের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি, অনিয়ম ও প্রতারক সাহেদকে অবৈধ সুযোগ দেওয়ার অভিযোগে আবুল কালামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির সুনির্দিষ্ট বিধান মতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় জনস্বার্থে যথাযথ নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২০
ইএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।