ঢাকা: বুড়িগঙ্গায় মর্নিং বার্ড লঞ্চ লঞ্চডুবিতে হতাহতের ঘটনায় দায়ী ময়ুর-২ এর সহকারী মাস্টার জাকির হোসেন ও গ্রিজার হৃদয়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৬ জুলাই) ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানা এই আদেশ দেন।
এই মামলার এজাহারভুক্ত সর্বশেষ আসামি হৃদয়কে গ্রেফতারের পর রোববার আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শহিদুল আলম তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন।
অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী শাহজালাল চুন্নু তার জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
অপরদিকে ময়ূর ২ এর সহকারী মাস্টার জাকির হোসেনকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে একই বিচারক তাকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এমএল মর্নিং বার্ড নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ গত ২৯ জুন সকালে মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে সদরঘাটের দিকে আসছিল। শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ নামের আরেকটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৪ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় গত ৩০ জুন ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টারসহ সাতজনকে আসামি করে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় নৌ-পুলিশের এসআই শামছুল আলম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধার নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ-সাতজনকে সেখানে আসামি করা হয়েছে।
প্রাণহানির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এ পর্যন্ত মামলার এজাহারভুক্ত সাতজনসহ মোট আট আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সবাই জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এখন কারাগারে আছেন।
এ ঘটনার পর সদরঘাটের একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওটিতে দেখা যায় পেছনে চলতে থাকা ময়ূর-২ এর ধাক্কায় ছোট আকারের মর্নিং বার্ডকে মুহূর্তের মধ্যে বুড়িগঙ্গায় ডুবে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২০
কেআই/এএটি