খুলনা: প্রতারণার নানা অভিযোগে কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদকে খুলনায় আনা হয়েছে। এখানে র্যাব-৬ এর কার্যালয়ে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সোমবার (২৭ জুলাই) বিকেলে তাকে খুলনায় র্যাব-৬ এর কার্যালয়ে আনা হয়। বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৬ এর সহকারী পরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) মাহবুবুল আলম।
এর আগে টানা ১০ দিনের রিমান্ড শেষে ২৬ জুলাই (রোববার) সকালে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলা হয়। তখন তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ৪ মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হলেও ৭ দিন করে ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মাহবুবুল আলম বলেন, সাতক্ষীরার দেবহাটাতে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র মামলায় কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে খুলনায় র্যাব-৬ এর কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। এখানে অস্ত্রের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-৬ সিপিসি-১’র উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল করিম জানান, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা থেকে খুলনায় আনা হয়েছে। মামলায় জব্দ অস্ত্র ও গুলির তথ্য জানাসহ নানা বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে বিভিন্ন প্রতারণা মামলায় গত ১৬ জুলাই তাকে ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। ওই রিমান্ড শেষ হয় রোববার। রিমান্ডে বিভিন্ন প্রতারণার কথা সাহেদ স্বীকার করেছেন বলে র্যাব সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আটকের পর রিমান্ডের ১০ দিনের মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে ৬ দিন ছিলেন সাহেদ। পরে তার মামলা র্যাবের কাছে হস্তান্তর হলে বাকি ৪ দিন র্যাব তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার রিপোর্ট ও সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল হাসপাতালটি। পরে ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের দুই শাখা ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেওয়া হয়। এরপরই পালিয়ে যান সাহেদ। পরে বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সময় অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২০
এমআরএম/ওএইচ/