ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সুপ্রিম কোর্টে চলতি বছরের সব অবকাশকালীন ছুটি বাতিল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২০
সুপ্রিম কোর্টে চলতি বছরের সব অবকাশকালীন ছুটি বাতিল

ঢাকা: ৬ আগস্টের পর থেকে চলতি বছরের সুপ্রিম কোর্টের সব অবকাশকালীন ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।

এর আগে প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত সব বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের ২০২০ খ্রিস্টাব্দের বর্ষপঞ্জির ৬ আগস্ট পরবর্তী অবকাশকালীন সব ছুটিসমূহ বাতিল করা হলো।

২০২০ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৬ আগস্টের পর ৩১ আগস্ট থেকে ৫ অক্টোবর, ২৫ ও ২৭ অক্টোবর এবং ২০ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অবকাশকালীন ছুটি ছিল।   

করোনা মহামারির এ সময়ে ২৬ মার্চ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এর সঙ্গে মিল রেখে আদালতেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে দফায় দফায় সাধারণ ছুটির মেয়াদও বাড়ানো হয়।

এর মধ্যে সরকার অধ্যাদেশ জারির পর ১১ মে থেকে আদালতে ভার্চ্যুয়াল বিচার কাজ শুরু হয়। ওই অধ্যাদেশটিকে পরে আইনে পরিণত করা হয়। সবশেষ গত ১৬ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সরকার ৩০ মের পর সাধারণ ছুটি আর না বাড়ালেও আদালত অঙ্গনে নিয়মিত কার্যক্রমের পরিবর্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কাজ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

কিন্তু গত ৩০ জুলাই অধস্তন আদালতে ৫ আগস্ট থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ চালুর সিদ্ধান্ত দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সে অনুসারে অধস্তন আদালতে বিচার কাজ শুরু হয়।

এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি কোর্ট খুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বরাবর ৮ জুলাই একটি চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘.....স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে অনতিবিলম্বে নিয়মিত আদালত চালুর পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটি অতিমত প্রকাশ করে।

যেহেতু করোনার ভয়াবহতার কারণে এরই মধ্যে আদালতের মূল্যবান সময় অপ্রত্যাশিতভাবে নষ্ট হয়ে গেছে, সুতরাং এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ২০২০ সালের ক্যালেন্ডোর অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বাৎসরিক ছুটি ও সব আদালতের ডিসেম্বরের ছুটি বাতিল করতে হবে এবং পরবর্তী বছরগুলোতে আদালতের ঐচ্ছিক ছুটিও কমিয়ে আনতে হবে। ’

এ চিঠির বিষয়ে জানতে ২৭ জুলাই আরও একটি চিঠি দেয় আইনজীবী সমিতি।

পরে ৩ আগস্ট একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

রেজিস্ট্রার জেনারেল স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপযুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে আগামী ৬ আগস্ট বিকেল ৩টায় ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভার আলোচ্যসূচির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচার কার্যক্রম পরিচালনা এবং সুপ্রিম কোর্টে ২০২০ খ্রিস্টাব্দের বার্ষিক অবকাশকালীন ছুটি হ্রাস/বাতিলকরণ প্রসঙ্গে আলোচনা হবে।

ওই সভা শেষে জানা যায়, করোনাকালে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চ্যুয়াল আদালতের পাশাপাশি শারীরিক উপস্থিতিতে হাইকোর্টে বিচার কাজ চলবে।

সে অনুসারে ভার্চ্যুয়াল আদালতের পাশাপাশি ১২ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দীর্ঘ চার মাস পরে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার কাজ শুরু হয়।

সবশেষে ছুটি বাতিল করে মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) নতুন বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।  

বাংলাদেশ সময়:০৯২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯,২০২০

ইএস/এসআই  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।