ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ডাক বিভাগের ডিজিকে বরখাস্ত চেয়ে আইনি নোটিশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২০
ডাক বিভাগের ডিজিকে বরখাস্ত চেয়ে আইনি নোটিশ প্রতীকী

ঢাকা: করোনা পজিটিভ হওয়ার পরও গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্রকে চাকরি থেকে বরখাস্ত চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী।

শনিবার (২২ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক এবং আইইডিসিআর-এর পরিচালককে ইমেইল যোগে নোটিশ পাঠান ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার।

পরে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব জানান, গত ১৪ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ স্মারক ডাকটিকেট, ডাটা কার্ড উম্মোচনের উদ্বোধনী কাজে গণভবনে যান সুধাংশু শেখর ভদ্র। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর অনেক কাছাকাছি অবস্থান করেন। কিন্তু সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর ২৬ ধারা অনুযায়ী তার কর্মকাণ্ড একটি অপরাধ এবং উক্ত আইন অনুযায়ী তিনি তার তথ্য গোপন করেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

‘বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ১২ আগস্ট আইইডিসিআর করোনা পরীক্ষার জন্য এসএস ভদ্রের নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ওই রিপোর্ট তাকে দিয়েছে। যে রিপোর্ট অনুযায়ী তার করোনা পজিটিভ ছিল। কিন্তু সেই রিপোর্টের তথ্য গোপন করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর খুব কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িয়েছেন, যা বেআইনি শুধু নয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুঁকি বহন করে। ’

হুমায়ন কবির পল্লব আরো বলেন, যেহেতু আগস্ট মাস একটি শোকের মাস, এই মাসে বাংলাদেশের ইতিহাসে বিভিন্ন বর্বরতম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শূন্য করবার জন্য বারবার স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এই আগস্ট মাসকে বেছে নিয়ে থাকে। এমন একটি পরিস্থিতিতে একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি যাওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে দেশবাসীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কেন এবং কোন উদ্দেশ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলেন সেই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া জাতীয় স্বার্থেই প্রয়োজন।

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিবাদীদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কোন পদক্ষেপ না নিলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২০
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।