ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ইসির মামলায় সাবরিনার রিমান্ড চায় পুলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২০
ইসির মামলায় সাবরিনার রিমান্ড চায় পুলিশ

ঢাকা: তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মামলায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের বরখাস্ত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা শারমিন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।  

মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডের এ আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে মামলার ঘটনার সঙ্গে ডা. সাবরিনার জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সাবরিনা কে বা কার সহায়তায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বিতীয়বার এনআইডি নিয়েছেন এবং তার হেফাজতে অন্য কোনো ভুয়া এনআইডি কার্ড আছে কিনা, থাকলে তা উদ্ধারসহ প্রকৃত ঠিকানা সংগ্রহ করে যাচাই, মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও ঘটনার চাহিদা মোতাবেক তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে জিজ্ঞাসাবাদসহ সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনার জন্য পাঁচদিনের পুলিশ রিমান্ডের প্রয়োজন।

আদালত ডা. সাবরিনার উপস্থিতিতে গ্রেফতার দেখানো ও রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

গত ৩১ আগস্ট ডা.সাবরিনার বিরুদ্ধে গুলশানা থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া বাদী হয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানায় সাবরিনার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বলা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বৈত ভোটার হয়ে এবং একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আইন অনুযায়ী অপরাধ করেছেন সাবরিনা। তার দু’টি এনআইডির তথ্য তুলে ধরে বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৪ ধারায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে। আর ১৫ ধারায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও একই শাস্তি হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২০
কেআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।