ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মসজিদে বিস্ফোরণ: ৩৭ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০
মসজিদে বিস্ফোরণ: ৩৭ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের ফাইল ফটো

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ও নিহত ব্যক্তিদের ৩৭ পরিবারকে আপাতত পাঁচ লাখ টাকা করে দিতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সাতদিনের মধ্যে এ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ৩৭টি পরিবারের কাছে এ টাকা বিতরণ করবেন।

বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক।

রুলে দগ্ধ ও নিহতদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে

চার সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের মেয়র, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রাজউক, ডিপিডিসি, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও এসপি, মসজিদ কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রিট আবেদনটি দায়ের করেন নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ রিটের ওপর শুনানি শেষে বুধবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়।

আবেদনে দগ্ধ ও নিহতদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে আবেদনে ওই ঘটনায় কার কী দায়, কার অবহেলা বা কার ভুল তা নিরুপণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের মেয়র, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও এসপিসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হন ৩৭ জন মুসল্লি। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

দগ্ধ ৩৭ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর ১২ শতাংশ দগ্ধ মামুন নামে এক রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসাধীন আটজনের মধ্যে বেশ কয়েকজন সুস্থ হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২০
ইএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।