ঢাকা: রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের অস্ত্র মামলায় পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে সাক্ষ্য দেন এডিসি বদরুজ্জামান, এসআই কবির হোসেন, চান মিয়া ও নিজামুল।
এছাড়া মামলার বাদী ডিবির পরিদর্শক এসএম গাফফারুল আলমকে এদিন অসমাপ্ত জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
এর মাধ্যমে রাষ্ট্রপক্ষে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন।
গত ২৭ আগস্ট একই আদালত এ মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। ওইদিনই এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী ডিবির পরিদর্শক এসএম গাফফারুল আলম জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে জেরা শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। ওইদিন তার জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর অসমাপ্ত জেরা ও অপর সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।
গত ৩০ জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মো. শায়রুল এই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ১৩ আগস্ট মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত।
অভিযোগপত্র দাখিলের দিন সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, সাহেদ যখন আমাদের কাছে রিমান্ডে ছিলেন, তখন তার ভাষ্যমতে তার ব্যবহার করা গাড়িটি আমরা জব্দ করি এবং গাড়ি থেকে অবৈধ অস্ত্র জব্দ করি। আমরা তদন্তে অভিযোগপত্র ও মামলার ডকেটে (মামলার নথিপত্র) সব উপস্থাপন করেছি। এ ধরনের মামলায় সাজা নিশ্চিত করতে যে ধরনের তথ্য-প্রমাণাদি দরকার হয়, আমরা সব কিছুর সত্যতা নিশ্চিত করেছি। এখন আদালত বিচার করে এর রায় দেবেন।
গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এরপর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে র্যাব। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাব অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
এর আগে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে করোনা ভুয়া পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে।
পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পরে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০
কেআই/এএ