ঢাকা: ডাকাতির মামলায় শাহবাগ পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) মোসাদ্দেক হোসেন খানসহ চার সেনাসদস্যকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢকার সপ্তম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন-সেনাবাহিনীর ল্যান্স করপোরাল মনিরুল ইসলাম, সৈনিক সাজ্জাদ হোসেন, লুৎফর রহমান খান ও লিটন হাওলাদার। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৯৫/৩৯৭ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ১০ বছর করে করাদণ্ড দেন।
আসামিদের মধ্যে কারাগারে থাকা সৈনিক লিটন হালদার ও মোসাদ্দেক হোসেন খানকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়। আর পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়।
মামলার আসামিরা ঘটনার সময় র্যাবে কর্মরত ছিলেন।
মামলার সাত আসামির মধ্যে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আলম খান ও সমুয়েল বৈদ্যকে খালাস দেন আদালত।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জেকে সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ম্যানেজার মাঈন ডুখিন, অ্যাকাউন্টেন্ট সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার হানিফ ড্রাইভার নুরুল হককে সঙ্গে নিয়ে অন্যান্য দিনের মতো সাউথ ইস্ট ব্যাংকের বনানী শাখায় প্রায় ১৮ লাখ টাকা জমা দিতে রওনা দেন।
এরপর অফিস থেকে একটু দূরে ১৩নম্বর রোডের মাথায় লোটাস কামাল বিল্ডিংয়ের কাছে কাভার্ডভ্যান পৌঁছালে র্যাবের পোশাক পরিহিত একটা মোটরসাইকেল গতিরোধ করে দাঁড়ান। গাড়িতে অবৈধ মাল আছে দাবি করে চেক করার জন্য গাড়ি থামাতে বলেন। এরপর গাড়ির পেছনের বক্স খুলতে বলেন। ড্রাইভার পেছনের বক্স খুলে দেন।
এসময় পেছনে র্যাবের পোশাক পরা ৪/৫ জন একটি গাড়িতে ছিলেন। দরজা খোলার পর টাকার ব্যাগসহ অ্যাকাউন্টেন্ট মো. সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মাে. হানিফকে র্যাবের গাড়িতে তুলে নিয়ে র্যাব-১ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। তবে তারা র্যাব কার্যালয়ে না গিয়ে মাটিকাটার ওখানে গিয়ে সেলিম ও হানিফকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। বিষয়টি ফোনে ড্রাইভার জানালে ম্যানেজার মাইন উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে র্যাব-১ এর কার্যালয়ে যোগাযোগ করে খিলক্ষেত থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
কেআই/ওএইচ/