ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তিনি বলেন, মোট তিনটি মামলার মধ্যে এ কে এম এ আউয়াল তিনটিতেই এবং একটিতে তার স্ত্রীকে আসামি করা হয়েছে। এ তিন মামলায় গত ০৭ জানুয়ারি তারা হাজির হয়ে জামিন আবেদনের পর ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে ৩ মার্চ তারা পিরোজপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিন শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান জামিন না মঞ্জুর কারে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরবর্তীতে তাদের ডিভিশন দিতে আবেদন করেন আইনজীবীরা। আদালত সেটি মঞ্জুর করেন। এরমধ্যে জেলা জজকে বদলি করা হয়। বিকালে ফের জামিন আবেদনের পর বিচারক নাহিদ নাসরিন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করে দুইজনের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের পক্ষে আবেদন করেছি।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক পরিচালক মো. আলী আকবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরিশালে ৩টি মামলা দায়ের করেন। তিনটি সাবেক এমপি আউয়াল এবং একটিতে তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকেও আসামি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জেলার নাজিরপুর থানার সামনে ও উপজেলা সদরের ভূমি অফিসের পেছনের ১৩ শতাংশ সরকারি খাস জমি নিজের দখলে নেন। পরে সেখানে তিনি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অফিস হিসেবে ভাড়া দেন। এতে চুক্তি করেন এমপির স্ত্রী লায়লা পারভীন।
এ জালিয়াতির ঘটনার অনুসন্ধানের পর স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) (এসিল্যান্ড) দুদক কর্মকর্তাকে বলেছেন, তিনি ওই ছয় ব্যক্তির কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাননি। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসা ছয় ব্যক্তির অস্তিত্ব না থাকলেও সাবেক এমপি আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীনের নামে বাড়ির বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সব ধরনের প্রমাণ পাওয়ার পর দুদক অনুসন্ধান শেষ করে মামলা দায়ের করেছে।
এ কে এম এ আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পর পর দুইবার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
ইএস/জেআইএম