ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ রোধ: রায় বাস্তবায়নে এক মাস সময়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ রোধ: রায় বাস্তবায়নে এক মাস সময়

ঢাকা: বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ রোধে নদীতে কারখানার বর্জ্য নিঃসরণ লাইন বন্ধে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
 
বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন।


 
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম ও ওয়াসার এমডি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট উম্মে সালমা।
 
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন,  শুনানি শেষে রায় বাস্তবায়ন না করায় ওয়াসার এমডিকে সতর্ক করেন আদালত। এক মাসের মধ্যে আদালতে প্রকৃত বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন এবং ১৮ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকার শ্যমপুরের ইন্ডাস্ট্রিজ এলাকার পরিচালিত বিভিন্ন শিল্প-কারখানা থেকে বর্জ্য নিঃসরণে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষন বন্ধে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট পিটিশন (৩৬৭৬/২০১০)  দায়ের করলে  ২০১১ সালে হাইকোর্ট রায় দিয়ে ওয়াসার এমডিকে ছয় মাসের মধ্যে বুড়িগঙ্গা নদীতে কারখানার বর্জ্য নিঃসরণ লাইন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
 
‘রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় একটি সম্পূরক আবেদনের উপর শুনানি শেষে আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ মার্চ ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান আদালতে হাজির হয়ে রায় বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। পরবর্তীকালে ১৮ আগস্ট এবং ৭ সেপ্টেম্বর দু’টি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হলেও রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় তা গ্রহণ না করে সময় দেওয়া হয়।

সোমবার শুনানিতে ওয়াসার এমডি পক্ষে আরও একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হলে আদালত তা গ্রহণ না করে তাকে সতর্ক করেছেন এবং বারবার সময় নিয়ে রায় বাস্তবায়নে তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার বিষয় উল্লেখ করেন। আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, ওয়াসার এমডি ইচ্ছাকৃতভাবে রায় প্রতিপালন করছে না এবং বারবার এফিডেভিড দিয়ে সময়ক্ষেপণ করছেন’- বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন মনজিল মোরসেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।