ঢাকা: ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানসহ পাঁচ পুলিশ ও এক সোর্সের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাদী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মামলাটি পুলিশের তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছিল।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মামলা প্রত্যাহারের আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
এরআগে সোমবার (১০ আগস্ট) সোহেল মীর নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর পক্ষে আইনজীবী জাকির হোসেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে এ মামলা করেন।
মামলায় ওসি মিজানুর ছাড়াও কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক পবিত্র সরকার (৪২), খালিদ শেখ (৪৫), সহকারী উপ-পরিদর্শক শাহিনুর রহমান (৪২), কনেস্টবল মো. মিজান (৫২) ও সোর্স মোতালেবকে আসামি করা হয়। মামলায় দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৬/৫০৬/১০৯/৩৪/৩৮৫/৩৮৬/৩৪৭ ধারাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (১)(ক) (খ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
আদালত অভিযোগের বিষয়ে এএসপি পদমর্যদার কোনো কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার বাদী সোহেলকে গত ২ আগস্ট কোতোয়ালি থানা এলাকার ওয়াজঘাটের মামলার আসামিরা গতিরোধ করেন। এরপর আসামিরা তার দেহ তল্লাশি করে পকেটে থাকা দুই হাজার নয়শ টাকা নিয়ে যায়। টাকা ফেরত চাইলে জিএমবি বানিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি দেন এবং তার পকেটে ২১৪ ইয়াবা দিয়ে থানা হাজতে নিয়ে যায়।
এরপর খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন থানায় এলে আসামিরা তাদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না পেলে তাকে জেএমবি ও মাদক মামলায় চালান করে দেবে বলে হুমকি দেন। এরপর পরিবার আসামিদের দুই লাখ টাকা দেন। পরদিন বাদীকে নন এফআইআর মূলে আদালতে চালান করেন। সেদিন থানা হাজত থেকে বাদী বের হওয়ার পর ঘটনা প্রকাশ করলে আসামিরা ক্রসফায়ারের হুমকি দেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
কেআই/ওএইচ/