ঢাকা: রাজধানীর পল্টনে পুলিশ বক্সের কাছে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির চার সদস্যকে দুই দফায় ছয়দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া চারজন হলেন- মামুন আল মোজাহিদ ওরফে সুমন ওরফে আবু আবদুর রহমান, মো. আল আমিন ওরফে আবু জিয়াদ, মো. মোজাহিদুল ইসলাম ওরফে রোকন ওরফে আবু তারিক ও সারোয়ার হোসেন রাহাত।
গত ১০ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে রাজধানীর উত্তরা আজমপুর এলাকায় সিটিটিসির বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন এলিগ্যান্ট বাইটের’ ধারাবাহিকতায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ চারজনকে গত ১১ সেপ্টেম্বর দু’দিন এবং ১৪ সেপ্টেম্বর চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল নজরুল।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, গত ১১ আগস্ট সিলেটে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত নব্য জেএমবির পাঁচজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের দেওয়া তথ্য ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পল্টনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর ফলে এখন পর্যন্ত পল্টনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট নয়জন নব্য জেএমবির সদস্যকে গ্রেফতার করা হলো।
উত্তরা থেকে গ্রেফতার চারজনের সঙ্গে ইতোপূর্বে গ্রেফতার শেখ সুলতান মোহাম্মদ নাইমুজ্জামানের বিভিন্ন সিক্রেট অ্যাপসের মাধ্যমে পল্টনে হামলার নির্দেশনা ও পরিকল্পনা বিষয়ক কথোপকথনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গত ২৪ জুলাই দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুরানা পল্টন এলাকায় পুলিশ বক্সের কাছে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে আইইডিতে ব্যবহৃত ইলেকট্রিক টেপ, জিআই পাইপের কনটেইনার, সার্কিটের অংশ, তারের অংশ বিশেষ, লোহার তৈরি বিয়ারিং ও বল, নাইন ভোল্ট ব্যাটারির অংশ বিশেষ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
কেআই/আরবি/