ঢাকা: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক হাজার ১৩৪ জন মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল করে যে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ হয়েছে, তা ১৯১ জনের ক্ষেত্রে স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল কাইয়ূম।
পরে আব্দুল কাইয়ূম জানান, গেজেট বাতিল আইনানুগ না হওয়ায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা রিট করেছেন। আজ আদালত পৃথক রিটের শুনানি নিয়ে বিজিবি ও বিমানবাহিনীর ১৯২ জনের ক্ষেত্রে গেজেটটি স্থগিত করে রুল জারি করেছেন। এছাড়া তাদের ভাতাও দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ১৯২ জনের মধ্যে ১৬০ জন আগে রিট করেছিলেন। তখন ভার্চ্যুয়াল কোর্ট নিয়মিত আদালত খোলা না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। এখন নিয়মিত আদালত চালু হওয়ার তাদের রিট উপস্থাপন করা হলে আদালত সনদ বাতিলের গেজেটের ওপর স্থগিতাদেশ, ভাতা দিতে নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন। আর নতুন করে বাকি ৩২ জন রিট করেন। তাদের ক্ষেত্রেও একই আদেশ দিয়েছেন। মোট ১৯২ জনের মধ্যে একজন বিমানবাহিনীর। বাকি সবাই বিজিবির।
গত ৭ জুন এক হাজার ১৩৪ জন বিজিবি সদস্যের গেজেট বাতিল করে সরকার। ওই গেজেটে বলা হয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০০২ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬-এর শিডিউল-১ এর তালিকা ৪১-এর ৫ নম্বর ক্রমিকে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে জামুকার ৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাধীনতা যুদ্ধের পর (১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এ যোগদানকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের এক হাজার ১৩৪ জনের নামে প্রকাশিত গেজেট বাতিল করা হলো
একই দিন বিমানবাহিনীর ৪৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে সংক্ষুব্ধ হয়ে ১৯২ জন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
ইএস/ওএইচ/