ঢাকা: রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ টেলিকমের অফিস সহকারী শামসুল হায়দার হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ মামলার আট আসামির মধ্যে বিচারিক আদালত ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ এবং বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এসএম শাহজাহান, একেএম ফজলুল হক খান ফরিদ, মাহমুদুল আল ভূইয়া, মো.আলী মর্তুজা, শাহ আব্দুল হাতেম, সাইফুর রহমান রাহী।
দুই আসমির পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন অমূল্য কুমার সরকার।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান বলেন, আদালত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে।
২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে এজিবি কলোনিতে শামসুল হায়দারকে গলা কেটে হ্ত্যা করা হয়। ভুয়া বিল তৈরি করে ১ কোটি ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনা জেনে যাওয়ায় আসামিরা তাকে খুন করে মর্মে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।
২০০৬ সালের ১৯ মার্চ আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মেসার্স হারুন এন্টারপ্রাইজের নামে ১ কোটি ৪৫ হাজার টাকার একটি ভুয়া বিল তৈরি করে অফিসে জমা দেন। পরদিন ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ১৮৭ টাকা ৫০ পয়সার একটি চেক হারুন এন্টারপ্রাইজের নামে প্রদান করেন। উক্ত টাকা আসামিরা তুলে পরস্পর ভাগ বাটোয়ারা করে নেন।
ঘটনাটি জেনে যাওয়ায় অফিস সহকারী গোলাম শামসুল হায়দায়কে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই আবুল কালাম আজাদ মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বাবুল, আব্দুল লতিফ, হাফিজুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ওয়াসিম ও কাজল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রাজন মিয়া ও শামসুল আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
পরে নিয়মানুসারে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে এবং আসামিরা আপিল করেন। এ ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষে সোমবার রায় দেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
ইএস/ওএইচ/