ঢাকা: রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে শিশু মিমকে (৪) ঘুমন্ত অবস্থায় গলাটিপে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে কিশোর বড় ভাই আল-আমিন (১৪)।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মিল্লাত হোসেন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে কড়াইল বস্তি থেকে আল-আমিনকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন আসামি আল-আমিনকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করে বিচারক তা রেকর্ড করেন৷ এরপর আল-আমিনকে গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল-আমিন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। সে বলছে, বাবা-মায়ের ভালোবাসায় ভাগ বসানোই ছিল তার বোনের অপরাধ।
আল-আমিন নরসিংদীতে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। এখন ঢাকায় বাবা-মার সঙ্গে থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে। মিমের জন্মের পর থেকেই বাবা লিটন মিয়া ও মা রোকসানা তাকে (মিম) বেশি আদর করে বলে ধারণা আল-আমিনের। মা-বাবা বাইরে থেকে মিমের জন্য খাবার নিয়ে আসেন। কিন্তু আল-আমিনকে তা দেন না। এতে আল-আমিনের ভেতর ক্ষোভ ও হতাশা জন্ম নেয়। এ ক্ষোভ থেকেই আল-আমিন বুধবার মিমকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা টিপে হত্যা করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। পরে বস্তির গোসলখানা সংলগ্ন বাথরুমের সামনে রেখে দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, কড়াইল বস্তিতে প্রায় ১০ বছর ধরে পরিবার নিয়ে বাস করছেন লিটন মিয়া। তিনি পেয়ারা ও আমড়া বিক্রেতা। রোকসানা বেগম বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করেন।
** বাবা-মায়ের ভালোবাসার ভাগ না দিতে ছোট বোনকে খুন করে বড় ভাই
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
কেআই/ওএইচ/