সিলেট: সিলেট মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করে নগরের শাহপরান থানায় এ মামলা দায়ের করেন ওই নারীর স্বামী।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসামিদের ধরতে রাতভর অভিযান চালানো হয়েছে। এছাড়া, অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের করা হবে। ’
সিলেট মহানগরের শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘আমরা রাতে অভিযান চালালেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি। তবে ভোর ৩টার দিকে এমসি কলেজের হোস্টেলে অভিযান চালিয়ে সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা ও একটি চাকু, দু’টি লোহার পাইপ, প্লাসসহ বিভিন্ন জিনিস জব্দ করি। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা দায়ের করা হবে। ’
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নারীকে ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দম্পতিকে ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ সুরমার নবদম্পতি শুক্রবার বিকেলে প্রাইভেটকারে এমসি কলেজে বেড়াতে যান। বিকেলে এমসি কলেজের ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী স্বামী-স্ত্রীকে ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে প্রথমে মারধর করেন। পরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেন। ছাত্রলীগ নেতাদের প্রত্যেকেই ছাত্রাবাসে থাকেন। তারা টিলাগড় কেন্দ্রিক রনজিত গ্রুপের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন>> এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণে অভিযুক্তরা
স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
এনইউ/এফএম