ঢাকা: নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে হওয়া অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ১২ অক্টোবর।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার এক নম্বর মহানগর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে। আইন অনুযায়ী আসামিদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আর্জি জানান মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।
ওইদিনই রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। আসামি সুমনের পক্ষে আইনজীবী এ এফ এম গোলাম ফাত্তাহ যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। এরপর পাপিয়ার পক্ষে সাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। তবে ওইদিন তা শেষ না হওয়ায় অসমাপ্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন। সে অনুযায়ী রোববার আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ২৪ আগস্ট একই আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য গত ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফুজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্য শেষ হয়।
গত ২৯ জুন পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে এ মামলায় সিএমএস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের এসআই আরিফুজ্জামান। এরপর মামলাটি বদলি হয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে নয়াদিল্লিতে যাওয়ার সময় বহির্গমন গেট থেকে পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুরকে গ্রেফতার করে র্যাব-২ এর একটি দল।
এসময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলংকান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া পিউ নামেই তিনি বেশি পরিচিত। এ নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা করতেন। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচতারকা হোটেলে সুন্দরী তরুণীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের।
পরে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এবং গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শেরে বাংলানগর থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দু ‘টি মামলা হয়। তিনটি মামলায় এ দু’জনকে কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
কেআই/আরবি/