ঢাকা: ফরিদপুরের চর টেপাখোলায় শামসুল হক মীর মালত দম্পতি হত্যা মামলায় তিন আসামির মধ্যে একজনকে যাবজ্জীবন ও দুইজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ এবং বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান। আসামি পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমান।
২০১৫ সালের ১২ মে ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আসামি নজরুল ইসলাম ও সুজন ব্যাপারীকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অপর আসামি মো. তানভীর ওরফে খসরুকে যাবজ্জীবনসহ বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। এরপর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এছাড়া আসামিরা আপিল করেন।
শাহীন আহমেদ খান বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সুজন ব্যাপারীকে যাবজ্জীবন, নজরুল ইসলামকে খালাস এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত খসরুকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করবে।
মৃত শামসুল হক মীর মালত আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিওটিএ) অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন।
২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর দুপুর ফরিদপুর শহরতলীর চর টেপাখোলার মুন্সীডাঙ্গী গ্রামের মালত পাড়ায় শামসুল হক মীর মালত (৭০) ও তার স্ত্রী নারগিছ নাহার বেগম ওরফে শেলীকে (৬০) গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মালত দম্পতির একমাত্র ছেলে কামরুল আহসান মাসুদ বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাটি তদন্ত করে র্যাব-৮’র এএসপি মো. কামাল উদ্দিন ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সুজন ব্যাপারী, নজরুল ইসলাম ও মীর মো. তানভীর রহমান ওরফে খসরুকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
ইএস/ওএইচ/