ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও দু’জন। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।
সাক্ষ্য দেওয়া দুজন হলেন- খায়রুল ও অরুনা। একমাত্র আসামি মজনু এ দু’জনের একজনের কাছে ধর্ষিতা ছাত্রীর মোবাইল ফোন বিক্রি করেন, অপরজনের কাছ থেকে ওই মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। তারা মজনুকে ধর্ষক হিসেবে শনাক্ত করেন।
এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম তাদের জেরা করেন। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত।
ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ (অরেঞ্জ) এ তথ্য জানান।
গত ২৬ আগস্ট এই মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিচার শুরু হয়েছে। ওইদির তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। পরদিন ভুক্তভোগী ছাত্রী ধর্ষক হিসেবে মজনুকে শনাক্ত করেন। সবশেষ গত ২৪ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীর নিকটাত্মীয় এক সাংবাদিক সাক্ষ্য দেন। তাই রাষ্ট্রপক্ষের ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ (অরেঞ্জ) এ তথ্য জানান।
গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ওইদিনই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি বিচারের জন্য তা সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।
এই মামলায় গ্রেফতার মজনু গত ১৬ জানুয়ারি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্টপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
পরে ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নিজ গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফেরেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
কেআই/এএ