গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রেমিকসহ বন্ধুরা মিলে এক তরুণীকে গণধর্ষণের মামলার অপর দুই আসামি জাহিদ (২৭) ও জহুরুল (২৬) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (চৌকি) আদালতের বিচারক পার্থ ভদ্র তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে, শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে জাহাঙ্গীর (৩৫) ও শাহাদত (২০) গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (চৌকি) আদালতের বিচারক পার্থ ভদ্রের কাছে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এ নিয়ে ওই মামলায় গ্রেফতার চার আসামিই আদালতে দায় স্বীকার করলেন।
>>গোবিন্দগঞ্জে গণধর্ষণ: ২ জনের দোষ স্বীকার, ২ জন রিমান্ডে
জাহাঙ্গীর গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বোয়ালিয়া (নয়াপাড়া) গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে এবং শাহাদৎ পৌর এলাকার চাষকপাড়া গ্রামের আনারুল হকের ছেলে ।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে জানান, আটক চার আসামির মধ্যে জাহাঙ্গীর (৩৫) ও শাহাদত (২০) শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের জবানবন্দি বেকর্ড করা হয়। এ সময় আসামি জাহিদ (২৭) ও জহুরুলের (২৬) দুই দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেন বিচারক।
রিমান্ড শেষে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর বাকি দুইজন বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জাহিদ শহরের থানাপাড়া (কসাইপাড়া) গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে এবং জহুরুল ফুলবাড়ী নাচাই কোচাই গ্রামের আব্দুর রহমান সরকারের ছেলে।
তিনি আরও জানান, শাহাদতের সঙ্গে মোবাইলে ফরিদপুর জেলার চক হরিরামপুর গ্রামের ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের কথা বলে বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ওই তরুণীকে গোবিন্দগঞ্জে ডেকে আনে শাহাদত। পরে ওই তরুণীকে শহরের শিববাড়ী এলাকার একটি বাড়িতে তুলে তাকে আটকে রেখে শাহাদত ও তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে।
সেখানে দু’দিন ধরে নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় এসে অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের একাধিক টিম পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রাতেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
এনটি