ঢাকা: মডেল বানানোর মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে চার কলেজছাত্রীকে বাসায় এনে ধর্ষণ করেন রেদওয়ান রসুল হৃদয় নামে এক যুবক। দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন হৃদয়।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই হাফিজুর রহমান আসামিকে আদালতে হাজির করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৬ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কুড়িলে হৃদয় নিজের বাসায় ওই চারজনকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার শিকার এক ছাত্রী ভাটারা থানায় অভিযোগ দিলে সোমবার রাতে পুলিশ হৃদয়কে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাশবিকতার শিকার ছাত্রীদের তিনজন কলেজ এবং একজন স্কুলের ছাত্রী। তাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে। তারা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় থাকে। গ্রেফতার হৃদয় একজন সিরিয়াল রেপিস্ট।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, হৃদয় গত ১২ সেপ্টেম্বর নিজের বন্ধুদের নিয়ে গাজীপুরের একটি রিসোর্টে পার্টির আয়োজন করেন। সেখানে পরিচয়ের সূত্রে দুই কলেজ শিক্ষার্থী মডেল হওয়ার আগ্রহ দেখায়। এর দুদিন পর হৃদয়ের এক বান্ধবীর মাধ্যমে তারা কুড়িলে হৃদয়ের বাসায় আসে। টিকটকের শুটিং শুরু হওয়ার কথা বলে তাদের ওই বাসার নিচতলার একটি কক্ষে থাকতে দেওয়া হয়। এরপর ওই ছাত্রীদের ওপর পাশবিকতা চালান হৃদয়।
হৃদয়ের ফেসবুকে ‘টিকটক ও লাইকিতে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে’— এমন বিজ্ঞাপন দেখে গত ২০ সেপ্টেম্বর আরো দুই শিক্ষার্থী হৃদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদেরও হৃদয় শুটিংয়ের কথা বলে নিজের বাসায় থাকতে দেন। পরদিন সকালে তাদের মধ্যে একজনকে বাসার তৃতীয় তলায় নিয়ে পাশবিকতা চালানো হয়। ওই রাতেই আরেক শিক্ষার্থীর ওপর চলে পাশবিকতা। এভাবে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার শিক্ষার্থীকে নিজের বাসায় আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেন হৃদয়।
পুলিশ জানায়, কুড়িলের বাড়িটি হৃদয়ের নিজস্ব। পরিচয় গোপন করে মেয়েদের বাড়ির নিচতলায় ভাড়াটে হিসেবে রাখতেন তিনি। সেখানে ঘটনার শিকার চারজনসহ আরেক তরুণীকে পাওয়া গেছে। তবে ওই তরুণী তার প্রতি কোনো পাশবিকতা হয়নি বলে দাবি করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
কেআই/এমজেএফ