বরগুনা: বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড এবং চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
খালাসপ্রাপ্ত কামরুল ইসলাম সাইমুনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান বাংলানিউজকে বলেন, তারা ন্যায়বিচার চেয়েছেন এবং তা পেয়েছেন।
তিনি বলেন, সাইমুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২৬ তারিখ রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার ওই ঘটনার পরে রিফাত ফরাজী তাকে ফোন দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে বলেন। সাইমুন সেই মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে যান এবং চাবি ও মোটরসাইকেল দিয়ে আসেন। সেই মোটরসাইকেলে রিফাত ফরাজী তার ছোট ভাই রিশান ফরাজী ও নয়ন বন্ড পালিয়ে যান। এটা হলো সাইমুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
‘কিন্তু কোনো মোটরসাইকেল এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধার করতে পারেনি। পাশাপাশি সাইমুন যে মোটরসাইকেল চালাতে পারে, তার যে মোটরসাইকেল ছিল বা তিনি যে মোটরসাইকেল দিয়ে সহযোগিতা করেছেন, এ বিষয়গুলো প্রসিকিউশন থেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। ’
তিনি আরও বলেন, সাইমুন যে পটুয়াখালী ছিলেন এবং তাকে পটুয়াখালী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এটা আমরা জানি। পাশাপাশি ডিফেন্স আইনজীবী হিসেবে এটা আমরা প্রমাণ করতেও সক্ষম হয়েছি। ফলে কামরুল ইসলাম সাইমুন নির্দোশ বলে প্রমাণিত হয়েছেন। তাই আদালত সন্তুষ্ট হয়ে তাকে খালাস দিয়েছেন।
এছাড়া সাগরের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, একটি স্ট্যাটাস দিয়ে সকাল ৯টায় একটি জায়গায় সবাইকে যেতে বলা হয়েছে আর সাগর সেখানে ইমোজি ব্যবহার করেছেন।
কিন্তু তার ওখানে কোনো পার্টপ্লে কিংবা কলেজে যাওয়া কিংবা ভিডিওতে দেখা যায়নি। এছাড়া প্রসিকিউশন থেকে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় তাকেও খালাস দিয়েছেন আদালত।
রাফিউল ইসলাম রাব্বির বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, কলেজ পড়ুয়া এক বন্ধু ওই ঘটনার পর তার বাসায় গিয়েছিল। কিন্তু রাব্বি এ ঘটনার খবর তখন জানতেন না। তাই স্বাভাবিকভাবে তার একটি ফ্রেন্ড এসে রাতে রয়েছে। কিন্তু যখন প্রকাশিত ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়, তখন ওই আশ্রিত বাসা থেকে চলে যায়। কিন্তু রাব্বির কোনো ইনটেশন ছিল না ওই বন্ধুকে আশ্রয় দেওয়ার। ফলে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ হয়নি।
এছাড়া পলাতক আসামি মুসার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগও প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
এমএস/টিএ