চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র জুবাইর মাহমুদ হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে মামলার অপর চার আসামিকে।
রোববার (৪ অক্টবর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহা. বজলুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের মৃত হারান মণ্ডলের ছেলে মুন্তাজ আলী ও পিতম্বরপুর গ্রামের গোলাম নবী শেখের ছেলে হাসান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে সাভার বিপিএটিসি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র জুবাইর মাহমুদ ও চুয়াডাঙ্গার স্কুলছাত্রী পিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের টানে ওই বছরের ১৩ এপ্রিল জুবাইর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামে এলে তাকে অপহরণ করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় এবং পরে জুবাইরকে হত্যা করে মরদেহ গুম করা হয়। এ ঘটনায় জুবাইর মাহমুদের বাবা নুরুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার আলী আটজনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলা চলাকালে নজির আহমদ ও হারুন অর রশিদ পলাশ নামে দুই আসামি মারা যাওয়ায় তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় রোববার বাকি ছয় আসামির মধ্যে মুন্তাজ আলী ও হাসানকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানা করেন আদালত। আর অভিযোগের সত্যতা না মেলায় আমীর হোসেন, ইমান আলী, নুসরাত জাহান পিয়া ও কবির হোসেন নামে মামলার বাকি চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২০
এসআই