ঢাকা: এক মাস কারাগারে থাকার পর জামিন পেলেন ভিয়েতনামফেরত আরও ৫০ বাংলাদেশি।
রোববার (৪ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তাদের জামিন দেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর সকালে ভিয়েতনাম ও কাতার ফেরত ৮৩ প্রবাসী বাংলাদেশিকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে দেখিয়ে গ্রেফতার করে তুরাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদের আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেফতারের পর তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল মক্তাকিন জানিয়েছিলেন, তারা ওই দেশে অবস্থানকালে অপরাধ করেছেন। ভিয়েতনাম থেকে তাদের অপরাধের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। সে কারণে ৮৩ জনকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে (৫৪ ধারায়) গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারা সেখানে কোনো অপরাধে জড়ানোয় জেলখানায় ছিলেন। সেখান থেকে পরে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। তবে তারা ঠিক কী ধরনের অপরাধ করেছেন, তা এখনও আমরা জানতে পারিনি। তাই সন্দেহজনক হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৮ আগস্ট ভিয়েতনাম থেকে ১০৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে তাদের সবাইকে উত্তরা দিয়াবাড়ী ক্যাম্পে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
গত ৩১ আগস্ট কোয়ারেন্টিন শেষ হয় তাদের। এরমধ্যে ভিয়েতনামে যারা অপরাধ করেছেন, তাদের বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার ১০৬ জনের মধ্যে অভিযুক্ত ৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২০
কেআই/ওএইচ/