ধর্ষণ একটি সামাজিক অপরাধ। পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশেই এ অপরাধের কঠোর শাস্তির বিধান আছে।
আমাদের দেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
পৃথিবীর অন্য কয়েকটি দেশে এই অপরাধের সাজা কী তা জেনে নেওয়া যাক।
সংযুক্ত আরব আমিরাত
যদি কারো বিরুদ্ধে ধর্ষণের অপরাধ প্রমাণিত হয়, তাহলে দেশটিতে সাত দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
চীন
চীনে ধর্ষকের জন্য বরাদ্দ শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। তবে এই শাস্তি নিয়ে বিরোধিতাও রয়েছে। কারণ, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর অভিযুক্ত নির্দোষ ছিল এমনও দেখা গেছে। আরেকটি শাস্তি রয়েছে পুরুষাঙ্গচ্ছেদ।
ফ্রান্স
ধর্ষণের শাস্তি ১৫ বছরের কারাদণ্ড। তবে ঘটনায় ক্ষতি ও নৃশংসতার বিচারে তা ৩০ বছর পর্যন্ত বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে।
সৌদি আরব
ধর্ষণে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে শাস্তি প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ। তবে তার আগে দোষীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়।
উত্তর কোরিয়া
ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড় করিয়ে গুলি করে অপরাধীর বুক ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়।
আফগানিস্তান
আদালত রায় দেওয়ার চারদিনের মধ্যে অভিযুক্তকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় কিংবা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
মিসর
দেশটিতে এখনও অনেক অপরাধে মধ্যযুগীয় শাস্তির প্রথা থাকলেও ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসি।
ইরান
ইরানেও ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ফাঁসি অথবা প্রকাশ্যে পাথর মেরে তা কার্যকর করা হয়।
ইসরায়েল
দোষ প্রমাণ হলে ১৬ বছরের কারাদণ্ড। সে দেশে ধর্ষণের সংজ্ঞা কিছুটা বর্ধিত। অন্য যৌন নির্যাতনও এর অন্তর্ভুক্ত।
যুক্তরাষ্ট্র
স্টেট ও ফেডারেল আইন অনুযায়ী ধর্ষণের বিচার ভিন্ন। ফেডারেল আইন অনুযায়ী দোষীর সাজা কয়েক বছরের কারাদণ্ড থেকে যাবজ্জীবনও হতে পারে।
রাশিয়া
ধর্ষকের তিন থেকে ছয় বছরের কারাদণ্ডের বিধান আছে রাশিয়ায়। তবে পরিস্থিতির বিচারে তা ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। যদি ধর্ষকের আচরণ অত্যন্ত নৃশংস হয়ে থাকে, তবে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
নরওয়ে
সম্মতি ছাড়া যে কোনো যৌনতা ধর্ষণের মধ্যে পড়ে। নৃশংসতা অনুযায়ী দোষীর তিন থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হয়।
মঙ্গোলিয়া
ধর্ষিতার পরিবারের হাত দিয়ে ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় দেশটিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২০
নিউজ ডেস্ক