ঢাকা: ১৯ বছর আগে চট্টগ্রামের নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় তিনজনকে আমৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন ভার্চ্যুয়াল আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) ওই তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার নতুন করে এ অর্থ দণ্ড দেওয়া হলো।
আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন- তসলিম উদ্দীন ওরফে মন্টু, আজম ও আলমগীর কবির ওরফে বাইট্টা আলমগীর।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।
আসামি আলমগীর কবির ওরফে বাইট্টা আলমগীরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, তসলিম উদ্দীন ওরফে মন্টু ও আজমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন হেলাল উদ্দিন মোল্লা।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত বলেন, গত ৬ অক্টোবর রায়ে তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এ যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড। কিন্তু ঘোষিত রায়ে জরিমানা আরোপের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়নি। বৃহস্পতিবার আদেশে আপিল বিভাগ তিন আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে (৬০) জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা চট্টগ্রাম মহানগরের জামাল খান রোডের বাসায় গুলি করে হত্যা করে।
একইদিন তার স্ত্রী রেলওয়ের তৎকালীন অডিট কর্মকর্তা উমা মুহুরী বাদী হয়ে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার বিচার শেষে নাসির ওরফে গিট্টু নাসির, আজম, আলমগীর কবির ওরফে বাইট্টা আলমগীর ও তসলিম উদ্দীন ওরফে মন্টুকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এছাড়া আসামি মহিউদ্দিন ওরফে মহিনউদ্দিন, হাবিব খান, সাইফুল ওরফে ছোট সাইফুল ও শাহাজাহানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
পরবর্তীকালে মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।
এরমধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত গিট্টু নাসির ক্রসফায়ারে মারা যান। মারা যান যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছোট সাইফুলও।
হাইকোর্টে শুনানি শেষে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। তবে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত শাহাজাহান ও সাইফুল খালাস পান। বাকিদের সাজা বহাল থাকে।
একপর্যায়ে মামলাটি আপিল বিভাগে আসে। আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে গত ৬ অক্টোবর রায় ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২০
ইএস/আরবি/