ঢাকা: করোনা ভাইরাসের মধ্যে বাহরাইন থেকে ফেরত এসে কোয়ারেন্টিন শেষে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার হয়ে জামিনে থাকা এক ব্যক্তির তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
বাহরাইন থেকে আসা চাঁদপুরের শাহীন আলমের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) রুলসহ এ আদেশ দেন।
২৯ অক্টোবর তুরাগ থানার ওই তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
পাশাপাশি ঢাকার সিএমএম আদালতের কাছেও ব্যাখ্যা চেয়েছেন উচ্চ আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও ফুয়াদ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, মধ্যেপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ২১৯ জন প্রবাসী দেশে ফেরত আসার পর তাদের কোয়রেন্টিনে পাঠানো হয়। তারা সেসব দেশে বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দেশে আসার পর তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হলে তুরাগ থানায় জিডি করে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য শলা-পরামর্শ করছিলেন।
৪ জুলাই তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এর মধ্যে বাহরাইন থেকে আসা চাঁদপুরের শাহিন আলমও রয়েছেন। অবশ্য ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি জামিন পান। এরপর তার বিরুদ্ধে ৫৪ ধারা চলমান কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আরও জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ১৫ দিনের মধ্যে ৫৪ ধারার তদন্ত শেষ করতে হবে। কিন্তু এখনো তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়নি। আবার ১৫ দিনের বেশি কারাগারে ছিলেন শাহীন আলম। তাই হাইকোর্ট তদন্ত কার্যক্রমের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তুরাগ থানার সেই তদন্ত কর্মকর্তাকে ২৯ অক্টোবর তলব করেছেন। আর ঢাকার সিএমএমকে এ বিষয়ে শোকজ করেছেন। ২৯ অক্টোবরের মধ্যে শোকজের ব্যাখ্যা দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২০
ইএস/এএ