ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আশুলিয়ায় ৩ শিশুকে ধর্ষণে বাড়িওয়ালার স্বীকারোক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২০
আশুলিয়ায় ৩ শিশুকে ধর্ষণে বাড়িওয়ালার স্বীকারোক্তি হেলাল উদ্দিন শেখ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: তিন শিশুকে ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন ঢাকার আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার বাড়িওয়ালা হেলাল উদ্দিন শেখ (৬০)।  

শুক্রবার (৯ অক্টোবর) হেলালকে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এসআই জয়ন্ত কুমার মজুমদার।

সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিজেএম সৈয়দ মাসফিকুল ইসলাম সজীব সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান শিকদারকে জবানবন্দি রেকর্ডের নির্দেশ দেন।  

জবানবন্দিতে হেলাল বলেন, তার বয়স ৬০ বছর। আশুলিয়ায় একটি থালা বাসনের লুছনির ফ্যাক্টরি আছে তার। নয় বছরের এ তিন শিশু তার ফ্যাক্টরিতে লুছনি প্যাকেটিংয়ের কাজ করতো। বিনিময়ে তাদের ২০/৩০ টাকা দেওয়া হতো। এ তিন কন্যাশিশু সেই সুবাদে তার বাসায়ও যেতো। তখন তাদের গায়ে হাত দিতো হেলাল। ঘটনার দিন বেলা ১১টায় দুই জমজসহ ওই তিন কন্যা শিশু তার বাসায় গেলে তাদের পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে হেলাল।

 

এদিন হেলালকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই জয়ন্ত কুমার মজুমদার। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ৬ অক্টোবর আশুলিয়ার উত্তর মোল্লাপাড়ায় ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার রাতে (৮ অক্টোবর) অভিযুক্ত বাড়িওয়ালাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হেলাল ভুক্তভোগীদের ভাড়া বাড়ির মালিক। হেলাল ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার ছয়ানী রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, জমজ মেয়েকে নিয়ে আশুলিয়ার উত্তর মোল্লাপাড়ায় একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করতো বাবা-মা। গত ৬ অক্টোবর সন্তানদের বাসায় রেখে তারা কর্মস্থলে যায়। সুযোগ বুঝে বাড়িওয়ালা হেলাল নানা প্রলোভন দেখিয়ে জমজ দুই বোনসহ পার্শ্ববর্তী আরও এক শিশুকে ঘরে ডেকে নেয়। জমজ শিশুর বাবা-মা কাজ থেকে বাসায় ফিরে এলে তাদের কাছে ঘটনা খুলে বলে ভুক্তভোগী শিশুরা।  

এরপর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয়ভাবে নানা চাপ আসে ভুক্তভোগী পরিবারের ওপর। ঘটনার দু’দিন পর কোনো এক সচেতন এলাকাবাসী ৯৯৯ এ ফোন করে ঘটনার কথা জানায়। পরে আশুলিয়া থানার এসআই জয়ন্ত কুমার অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন।

আশুলিয়া থানার এসআই জয়ন্ত কুমার বলেন, গত ৬ অক্টোবর এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার ৯৯৯ এ অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত হেলালকে আটক করা হয়। এরপর ওই তিন শিশুকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়। শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগী শিশুদের বাবা মামলা করলে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২০
কেআই/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।