ঢাকা: করোনা পজেটিভ হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিতে আসেননি মামলার প্রথম জব্দ তালিকা প্রস্তুতকারী ও প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামান।
এ কারণে রোববার (১১ অক্টোবর) এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য আগামী ১৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম রবি এ তথ্য জানান।
সবশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য দেন, খায়রুল ও অরুণা। মামলার একমাত্র আসামি মজনু এ দুজনের একজনের কাছে ধর্ষিতা ছাত্রীর মোবাইল ফোন বিক্রি করেন, অপরজনের কাছ থেকে ওই মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়।
গত ২৬ আগস্ট এই মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিচার শুরু হয়েছে। ওই দিন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। পরদিন ভুক্তভোগী ছাত্রী ধর্ষক হিসেবে মজনুকে শনাক্ত করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক অভিযোগত্র দাখিল করেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ওইদিনই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি বিচারের জন্য তা সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।
এই মামলায় গ্রেফতার মজনু গত ১৬ জানুয়ারি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুর্মিটোলা বাস স্টপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
পরে রাত ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নিজ গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফেরেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
কেআই/এমজেএফ