ঢাকা: পাপিয়ার পরিচয় একজন রাজনীতিবিদ, তবে তিনি সজ্জন রাজনীতিক নন। রাজনীতির ছদ্মাবরণে তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করেছেন।
সোমবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার এক নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ এ রায় দেন।
পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, এই মামলার আসামিরা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হলেও তারা সজ্জন রাজনীতিক নন। তাদের ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। একজন রাজনীতিকের বাসায় নগদ এত টাকা থাকার কোনো বৈধ উৎস তারা দেখাতে পারেননি।
আদালত আরও বলেন, তারা রাজনীতিবিদ হলেও রাজনীতির ছদ্মাবরণে তারা ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করেছেন। তারা দেশের কল্যাণে কিছু করেননি। এ ধরনের রাজনীতিকের কাছে অস্ত্র থাকার কোনো ভালো উদ্দেশ্য থাকে না। তারা বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বিদেশি অস্ত্র রাখেন। অস্ত্রের সঙ্গে ২০টি গুলি থাকাই সেটা প্রমাণ করে। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ও ১৯ (চ) ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
তবে আসামি পাপিয়া নারী হওয়ায় এই আইনের ১৯(ক) ধারায় সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন থাকলেও ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো। এছাড়া একই আইনের ১৯(চ) ধারায় সাতবছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো। দুটি সাজাই একত্রে চলবে।
রায় ঘোষণার সময় পাপিয়া ও তার স্বামী আদালতের কাঠগড়ায় স্বাভাবিকই ছিলেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকাজ শেষে রায়ের এই দিন ধার্য করেছিলেন একই আদালত।
গত ২৪ আগস্ট একই আদালত এই মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়।
গত ০৬ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার সাক্ষ্য শেষ হয়। অর্থাৎ সাক্ষ্য শুরু হওয়ার দেড় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মামলাটির রায় হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২০
কেআই/টিএ