নোয়াখালী: এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়ার তিনদিনের মাথায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিন নম্বর আসামি কালাম।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাশফিকুল হক তার খাসকামরায় কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে, রোববার দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালীর তদন্ত দল মামলার কালামকে আদালতে হাজির করে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং সে দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে। এরপর ওই নারী ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের কিছুদিন বাড়িতে নজরবন্দি করে রাখেন তারা। একপর্যায়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় ওই পরিবার। ঘটনার ৩২ দিন পর রোববার (৪ অক্টোবর) সে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে তা ভাইরাল হয়। এরপর বিষয়টি নজরে এলে রোববার রাতেই নির্যাতিত নারীকে উদ্ধার করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয় পুলিশ। ওই রাতেই ভুক্তভোগী বাদি হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন। দুই মামলার এজাহারে নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও সাত-আটজনকে আসামি করা হয়। দুই মামলায় এ পর্যন্ত মূল হোতা দেলোয়ারসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ছয়জন রয়েছেন। পুলিশি তদন্তে এ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসায় দেলোয়ারসহ বাকি পাঁচজনকে এ দুই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
এসআই