জামালপুর: জামালপুরে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক জিয়াউল হক (৩২) হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ও দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
রোববার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন ইসলামপুর উপজেলার করইতার খানবাড়ী গ্রামের নবাব আলী খান ওরফে নবা খান এর ছেলে মাহবুবুর রহমান ওরফে বুলবুল।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মেলান্দহ উপজেলার মাঝবন্দ নাংলা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে মনির ও একই উপজেলার গোবিন্দপুর নাংলা গ্রামের সুলতানের ছেলে বাবু।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নির্মল কান্তি ভদ্র জানান, গত ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর সকালে ইসলামপুর উপজেলার ধর্মকুড়া শান্তিপাড়া গ্রামের সামিউল হকের ছেলে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক জিয়াউল হককে (৩২) পার্শ্ববর্তী করইতার গ্রামের বুলবুল জামালপুরের নান্দিনায় শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন ৬ অক্টোবর দুপুরে মেলান্দহ উপজেলার চারাইলদার পাথালিয়া গ্রামের মতিবর হাজির ধানক্ষেত থেকে জিয়াউল হকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ওইদিনই নিহতের স্ত্রী মোছা. বিউটি বেগম মেলান্দহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালত ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মাহবুবুর রহমান বুলবুলকে পেনেল কোর্ট ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারার অপরাধে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং মনির ও বাবুকে পেনেল কোর্ট, ১৮৬০ এর ৩০২/৩৪ ধারার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারার অপরাধে আরও ২ (দুই) বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। উভয় সাজা একসঙ্গে চলার আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাহবুবুর রহমান ওরফে বুলবুল পলাতক রয়েছেন।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. বজলুল হক ও আসামিদের স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম জামাল আবদুন নাসের ওরফে বাবুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২০
আরএ