ঢাকা: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সাদুল্লাপুরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে লন্ডন প্রবাসীর মা ও স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামি জাকারিয়া আহমেদ শুভকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামির জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
আদালতে আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আল আমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফারজানা শম্পা।
২০১৮ সালের ১৭ মে দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা জানান, লন্ডন প্রবাসীর স্ত্রী রুমী ও তার মা মালা বেগম বাড়িতে থাকতেন।
কয়েকদিন আগে লন্ডন প্রবাসী স্বামী আখলাক চৌধুরী তার এক বন্ধু রিপনকে মোবাইলের একটি কাভার কিনে দিতে বলেন স্ত্রী রুমীকে। রিপন ব্যস্ত থাকায় ১১ মে তার ভাই জয়কে দিয়ে ওই কাভার রুমীর বাড়িতে পাঠান। জয় কাভারটি নিয়ে যাওয়ার সময় ওই এলাকার জাকারিয়া শুভ নামে এক বখাটের সঙ্গে পরিচয় হয়। তখন জয়ের সঙ্গে বখাটে শুভও রুমীদের বাড়িতে যান। এসময় রুমীকে দেখে শুভ তাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন।
শুভ ১২ মে রুমীদের পাশের বাড়ির ফারুক চৌধুরীর কর্মরত শ্রমিক তালেব মিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাকে একটি দোকানে আপ্যায়ন করেন এবং মোবাইলে থাকা পর্নোগ্রাফি দেখান। এরপর তারা পরিকল্পনা করেন ১৩ মে রাতে গিয়ে তারা রুমীকে ধর্ষণ করবেন। পরে রাত সাড়ে ১০টায় ওই বাড়িতে গিয়ে প্রথমে প্রবাসীর মা মালা বেগমকে দাদি সম্বোধন করে ডাক দেন এবং গেট খুলতে বলেন তালেব মিয়া।
গেট খোলার পর তালেব মিয়ার সঙ্গে শুভও ভেতরে ঢোকেন। তখন মালা বেগম ওই ছেলের পরিচয় জানতে চাইলে শুভ ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করেন। এসময় রুমী চিৎকার দিলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে তারা দু’জনেই ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় স্থানীয়রা তাদের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের মরদেহ দেখতে পান।
এ ঘটনায় পরদিন রাতে নিহত রুমীর ভাই ডা. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২০
ইএস/এএ