ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির এবং পুলিশের বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
বুধবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।
এদিন সাক্ষ্য দিয়েছেন এনটিএমসির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজেম উদ্দিন ও মেজর নাহিদ। এ নিয়ে মামলায় ১৭ সাক্ষীর ৮ জনের জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হলো।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে জেরার জন্য আসামিপক্ষ সময় আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করে তাদের জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত ১৯ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লা এই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত ১৮ মার্চ এই মামলায় তাদের দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন একই আদালত। গত ১৯ আগস্ট এই মামলার বাদী দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লার জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
গত বছর ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন মিজান। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন।
এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি গত বছর ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।
এরপর গত বছর ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্লা মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এরপর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে। অপরদিকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার ডিআইজি মিজানকে এই মামলায়ও গ্রেফতার দেখানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
কেআই/এমজেএফ