ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিলেন ম্যাজিস্ট্রেটসহ চারজন।
বুধবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।
সাক্ষ্য দেওয়া চারজন হলেন- আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডকারী ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা মেডিক্যালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. তৌহিদা বেগম, সঙ্গীয় ফোর্সের সদস্য সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গিয়াস উদ্দিন এবং জব্দতালিকার সাক্ষী সুমন।
এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম তাদের জেরা করেন। পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ (অরেঞ্জ) বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক অভিযোগত্র দাখিল করেন।
গত ২৬ আগস্ট এই মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিচার শুরু হয়েছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। পরদিন ভুক্তভোগী ছাত্রী ধর্ষক হিসেবে মজনুকে শনাক্ত করেন।
এরআগে গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্টপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
পরে রাত ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে আবিষ্কার করেন। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নিজ গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফেরেন।
এদিকে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ঢাবি উত্তাল হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা ঘটনার পরদিন শাহবাগ মোড় অবরোধ করে অপরাধীকে গ্রেফতারের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়। ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, ডাকসু, সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও বাম সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
কেআই/ওএইচ/