বরগুনা: আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় পড়া শুরু করেছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুর একটা ১০ মিনিটে জেলা শিশু আদালতে রায় পড়া শুরু করেন বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।
রায় কেন্দ্র করে বরগুনার আদালত প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশি বেষ্টনীতে মোড়ানো রয়েছে পুরো আদালত প্রাঙ্গণ।
রায় উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনা কারাগারে থাকা এ মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আদালতে হাজির হয়েছেন এ মামলায় জামিনে থাকা আট আসামি।
রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির মধ্যে গ্রেফতার হওয়ার পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সাতজন। এছাড়া বাকি সাত আসামি আত্মসমর্পণ করেছিলেন। রায়ে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করছেন উভয়পক্ষের আইনজীবীসহ রিফাতের পরিবার এবং আসামিদের স্বজনরাও।
গত ১৪ অক্টোবর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মঙ্গলবার মামলাটির এ রায়ের দিন ধার্য করেন বরগুনার শিশু আদালত।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এরমধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। এরপর ১৩ জানুয়ারি থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন। মোট ৭৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দেন। আর বাকি চারজনকে বেকসুর খালাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২০
টিএ