বাগেরহাট: বাগেরহাটে পূজা দেখে ফেরার পথে এক পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির মামলায় ইউপি সদস্য শেখ মিজানুর রহমানসহ (৩৫) পাঁচ আসামিকে দুইদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে রিমান্ড শুনানি শেষে বাগেরহাট অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আবির পারভেজ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুর রহমান।
রিমান্ডের আসামি শেখ মিজানুর রহমান বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও বাকপুরা গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে।
অন্য আসামিরা হলেন- বাগেরহাট সদর উপজেলার চিন্তারখোড় গ্রামের অমল মৃধার ছেলে বিকাশ মৃধা (১৯), নারায়ণ চন্দ্র সরকারের ছেলে সুকান্ত সরকার (৩২), অসীম বিশ্বাসের ছেলে বিধান বিশ্বাস (২৮) ও মো. আনোয়ার ফকিরের ছেলে সোহেল ফকির (২৩)।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকালে ওই তরুণী পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিন-চার জনের নামে মামলা দায়ের করেন। তিনি ঢাকার একটি পোশাক কারখানার কর্মী। পূজার ছুটিতে তিনি বাড়ি ফিরেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ অক্টোবর (সোমবার) বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে বিভিন্ন মণ্ডপে পূজা দেখে যাত্রাপুর বাজারে নাস্তা করে রাতে ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১০টার দিকে বাকপুড়া মোড়ে পৌঁছালে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান এতো রাতে কোথা থেকে আসছিস জিজ্ঞেস করে মেয়েটিকে ভ্যান থেকে নামিয়ে রাখেন। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে বাকপুড়া ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের নতুন ভবনের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন তিনি। পরে দিনগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ওই তরুণীকে চিন্তিরখোড় এলাকায় রেখে চলে যান মিজান। সেখান থেকে মেয়েটি একা একা হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১২টার দিকে বিকাশ মৃধা, সুকান্ত সরকার, বিধান বিশ্বাস, সোহেল ফকিরসহ কয়েকজন একা পেয়ে তাকে হদেরহাট বাজারের আবুল হোসেনের ভবনের পেছনে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন।
** বাগেরহাটে তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্য আটক
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২০
এসআরএস