ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কানের দুলের জন্য শিশু হত্যায় যুবকের যাবজ্জীবন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২০
কানের দুলের জন্য শিশু হত্যায় যুবকের যাবজ্জীবন

রাজশাহী: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় কানের দুলের জন্য শিশু হত্যার দায়ে ফারুক হোসেন (১৯) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ফারুক হোসেন উপজেলার ঘোরসা মোল্লাপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে।

নিহত শিশুর নাম সুইটি আক্তার বন্যা (৭)। তার বাবার নাম সমির উদ্দিন বিশু। একই গ্রামে তাদের বাড়ি।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচার আবদুস সালাম এ রায় দেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শরিফুল ইসলাম জানান, ২০১১ সালের ২৩ জুন বন্যাকে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন সকালে বন্যা স্কুলে যাচ্ছিলো। তখন ফারুক তাদের ফাকা বাড়িতে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর কানের দুল খুলে নিয়ে মরদেহ টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়।

বন্যাকে খুঁজে না পেয়ে পরিবার ও স্থানীয়রা ফারুকের বাড়ি ঘেরাও করেন। তারা ফারুককে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। একপর্যায়ে ফারুক স্বীকার করেন বন্যাকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ফারুককে গ্রেফতার করে।

এ ঘটনায় শিশু বন্যার বাবা ফারুকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালতে মামলার বিচার শুরু হয়। আদালত ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হলো।

হত্যার অপরাধে আদালত ফারুককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে একবছর কারাদণ্ড দেন। মরদেহ গুমের অপরাধে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা ও জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চুরির অপরাধে এক বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

শরিফুল ইসলাম আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আসামি ফারুক জেলহাজতেই ছিলেন। মঙ্গলবার রায় ঘোষণার দিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে তাকে ফের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ রায়ে তারা সন্তুষ্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২০
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।