ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি মহেশখালীর সালামতের মৃত্যু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২০
যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি মহেশখালীর সালামতের মৃত্যু সালামত উল্লাহ খান

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি কক্সবাজারের মহেশখালীর সালামত উল্লাহ খান মারা গেছেন। মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর) সকালে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এদিন তার জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল।

তার আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান জানান, ২০১৫ সালের ১ মার্চ সালামত উল্লাহ খান গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন। অসুস্থ হওয়ায় তাকে ৩১ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। ১ নভেম্বর তার জামিন আবেদন করা হয়। মঙ্গলবার তার জামিন আবেদন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সকাল আটটায় তিনি মারা যান।

২০১৮ নালের ৩ এপ্রিল এ মামলায় ১৬ জনের বিষয়ে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

২০১৬ সালের ১৫ মার্চ আব্দুল মজিদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগে (ফরমাল চার্জ) একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন, ধর্মান্তর ও দেশান্তরকরণের ১৩টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে ৯৪ জনকে হত্যা, অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতন এবং ব্যাপক লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে। তবে আদালত ১০টি বিষয়ে অভিযোগ গঠন করেছেন।

এ মামলায় এজাহারভূক্ত আসামি ছিলেন ১৯ জন। তদন্ত চলাকালে একজন এবং পরে আরও দুইজন মারা যান। তারা হলেন আবদুল মজিদ, মৌলভি শামসুদ্দোহা এবং রশিদ মিয়া।

আসামিদের মধ্যে এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- মো. রশিদ মিয়া বিএ, সালামত উল্লাহ খান, মৌলভি নুরুল ইসলাম, বাদশা মিয়া ও  ওসমান গণি। তাদের মধ্যে রশিদ মিয়া বিশেষ শর্তে জামিনে থাকা অবস্থায় মারা যান। সোমবার মারা গেলেন সালামত উল্লাহ।

মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

পলাতক ১২ আসামি হলেন- মৌলভি জকরিয়া শিকদার, অলি আহমদ, মো. জালাল উদ্দিন, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাবুল, মমতাজ আহম্মদ, হাবিবুর রহমান, মৌলভি আমজাদ আলী, আব্দুল শুক্কুর, মৌলভি রমিজ হাসান, মো. জাকারিয়া, মৌলভি জালাল এবং আব্দুল আজিজ।

২০১৫ সালের ০৮ অক্টোবর এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা। তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. নূরুল ইসলাম ২০১৪ সালের ১২ মে থেকে ওই দিন পর্যন্ত তদন্ত করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলাম পার্টির সক্রিয় নেতাকর্মী ছিলেন। এর মধ্যে সালামত উল্লাহ খান মানবতাবিরোধী অপরাধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সমর্থক হিসেবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষে কাজ করেছিলেন অন্যরা। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সব ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা সংঘটনে সার্বিক সহায়তা প্রদান এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিজেরাও ওই সব অপরাধ করেছেন আসামিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২০
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।