ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক আল মামুনের আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার দু’জন তদন্ত কর্মকর্তা।
তারা হলেন- মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ও অভিযোগপত্র প্রদানকারী সবশেষ তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম তাদের জেরা করেন।
২৪ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন। আগামী ১২ নভেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ওই আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ (অরেঞ্জ) এ তথ্য জানান।
গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক অভিযোগত্র দাখিল করেন। গত ২৬ আগস্ট এ মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিচার শুরু হয়েছে। এরপর গত ২০ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। পরদিন ভুক্তভোগী ছাত্রী ধর্ষক হিসেবে মজনুকে শনাক্ত করেন।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
পরে রাত ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নিজ গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফেরেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২০
কেআই/আরবি/