ঢাকা: গৃহকর্মীকে নির্যাতন ও হত্যার গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমানের উত্তরার বাসায় হামলার ঘটনায় গ্রেফতার সাব্বির আহম্মেদকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমান তাকে কারাগারে পাঠান।
গত ৩ নভেম্বর সাব্বিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের পুলিশ পরিদর্শক আহসান হাবীব খান। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত পুলিশের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জালাল উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ ঘটনায় গত ২ নভেম্বর আসামি সাব্বিরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আসামির কাছ থেকে দু’টি মোবাইল সিম পাওয়া যায়। যা আসামি সাব্বিরের নিজের ও পরিবার কারো নামে রেজিস্ট্রেশন করা নেই। অন্য কোনো ব্যক্তির নামে ওই সিম রেজিস্ট্রেশন করা আছে, যা রহস্যজনক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামি সাব্বির গত ১৪ ও ১৫ অক্টোবর তার ফেসবুকে প্রচার করেন 'দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমানের বাসার গহকর্মীকে অত্যাচার করছে বলে জনগণের দাবি' এবং 'উত্তরায় সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমানের বাসার কাজের মেয়ে নিয়ে রহস্য, এলাকাবাসীর সন্দেহ মেয়েটাকে মেরে ফেলা হয়েছে’ মর্মে মিথ্যা বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়। এর ফলে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনগণ পীর হাবিবের রাজধানীর উত্তরার বাসায় হামলা ও ভাংচুর করে।
পীর হাবিব নিজেই এ মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, আসামি সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া সমাজের মানুষের কাছে শত্রুতা, ঘৃণা সৃষ্টি এবং গুজব রটানোর উদ্দেশে ওই সংবাদ বা বক্তব্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করে। সে আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা, বানোয়াট এবং মানহানিকর তথ্য প্রচার করে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ও ৩১ এর (২) ধারায় অপরাধ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২০
কেআই/আরবি/